বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া ২০২২

গত দশক থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দেশে প্রযুক্তি, কৃষি, শিক্ষা,শিল্প খাতগুলোর উন্নতি চোখে পড়ার মতো। বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন) তথ্যমতে, বর্তমান বাংলাদেশে ১৬ কোটি মোবাইল গ্রাহক রয়েছে। মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬২ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহার করে সংখ্যায় যা প্রায় সাড়ে দশ কোটি, কয়েক বছর আগেও এই সংখ্যা ২ কোটির নিচে ছিলো। দেশের প্রতিটি কোনায় কোনায় অনেক সম্ভাবনার উন্মেষ ঘটছে। আপনি একটু চিন্তা করলেই দেখবেন কয়েক বছর আগেও যেখানে শিক্ষিত তরুনদের চাকরি ছাড়া কোনো উপায় ছিল না কিংবা সেরকম সম্মানজনক ব্যবসায়িক পরিস্থিতি ছিল না আজ তারাই ঘরে বসে আয় করতে পারছে। বাংলাদেশে প্রতিটি সেক্টরে এবং প্রতিটি শিল্পে প্রচুর লাভজনক ব্যবসা রয়েছে।

ব্যবসায় সফলতা কিন্তু রাতারাতি পাওয়া যায় না । তাই আপনাকে ব্যবসায় নামার আগে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম ও লেগে থাকার মানসিকতা নিয়ে নামতে হবে। আপনি যে ব্যবসায়-ই শুরু করেন না কেন আপনাকে আগে সেই ব্যবসার ষোল আনা রিসার্চ করে জেনে নিতে হবে। এতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তো আর কথা না বাড়িয়ে এখন চলে যাবো বেশ কয়েকটি লাভজঙ্ক ব্যবসায়িক আইডিয়া নিয়ে।

ই-কমার্স ব্যবসা

বর্তমানে আমাদের দেশের ট্রেন্ডিং এ অবস্থান করছে এটি। অল্প পুজিতে শরু করে ভালো অবস্থানে যেতে কম সময় লাগার কারনে বিভিন্ন পেশার মানুষ এখন নিজেদের চাকরির পাশাপাশি সেকেন্ড ইনকামের জন্যেও অনলাইনে ব্যবসা করছেন, আর শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা তো আছেনই । এখন আমাদের দেশে প্রতিদিনই কমপক্ষে অর্ধশত ই কমার্স প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। তবে যথাযথ ব্যবসায়িক আইডিয়া না থাকায় বেশিরভাগই সফলতার মুখ দেখে না। এই কথা বলে আমি আপনাদের আসলে নিরুতসাহিত করিনি সচেতন হওয়ার জন্যে বলেছি। আবার এটাও সত্য যে, সঠিক স্ট্রাটেজি জানার কারনে অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠান কয়েক হাজার টাকায় তাদের প্রতিষ্ঠান শুরু করে এখন কয়েক কোটি টাকা আয় করছে। ই কমার্স ব্যবসা সফল হওয়ার জন্যে আপনাদের প্রাথমিক কিছু কাজ করতে হবে যেমনঃ

ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেটসহ প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক ডকুমেন্টস।

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।

সঠিক মার্কেটিং প্লান।

সোস্যাল মিডিয়ায় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে প্রচার প্রচারনা চালানো।

ডেলিভারি সিস্টেম পর্যবেক্ষন।

এইটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট।

আইটি বিজনেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে বাংলাদেশ সরকার বদ্ধ পরিকর। আইটি ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক বিজনেস খাতগুলোর একটি। তরুনরা এই ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বেশি আসে তবে ভুল ব্যবসায়িক আইডিয়া, অভিজ্ঞতা ও ইনভেস্টমেন্ট এর অভাবে তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। কিন্ত এটা নিশ্চিত করেই বলা যাবে এটা বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসাগুলোর একটি ও ভবিষ্যতের বাংলাদেশের জন্যে সবচেয়ে বড় ও লাভজনক একটি খাত। মোটামুটি পুঁজি নিয়ে ছোট পরিসরে আইটি বিজনেস শুরু করতে পারেন। আইটি সেক্টরে সফলতা পেতে হলে অবশ্যই আপনার এই সেক্টরের ষোল আনা জানা থাকতে হবে। ইনভেস্ট করার ক্ষমতা থাকতে হবে। সাথে যেকোনো রানিং বা আপডেট টেকনোলজির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসা

রেস্টুরেন্ট ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা । এই ব্যবসা দেয়ার জন্যে যে আপনাকে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে তা  নয়।  আপনি চাইলে কম বাজেটের মধ্যে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অনেকে ১ লাখ টাকায় ব্যবসা শুরু করে এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। শহরের অলিতে গলিতে অসংখ্য ছোট ছোট রেস্টুরেন্ট চোখে পড়ে। আপনি গেলে দেখবেন বেশির ভাগ সময়-ই সেগুলোতে আসন ফাঁকা পাবেন না। কারন মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত, নিম্নবিত্ত সকল শ্রেনী পেশার মানুষই এই ছোট রেস্টুরেন্টগুলোতে আসে। করোনাকালীন এই শিল্পটি কিছুটা হুমকির মুখে পড়লেও এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক গতিতেই চলছে । আপনার রেস্টুরেন্টের খাবারের মেন্যুতে একটু ইউনিক টাইপের স্বাদ আর মার্জিত, মিষ্টি ব্যবহার, সাজানো গোছানো পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আপনাকে এই ব্যবসায় সফল হতে সাহায্য করবে।

পাট পণ্যের ব্যবসা

মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষন করায় প্লাস্টিক পণ্য বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ করা হয়। আমাদের দেশে যদিও প্লাটিক পণ্য নিষিদ্ধ তবুও এটি জোরালোভাবেই মার্কেটে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই প্লাস্টিকের বিকল্প হতে পারে পাট পণ্য। পাট পণ্যের চাহিদা শুধু বাংলাদেশেই নয় বিদেশেও এটির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। পাট পণ্যের বিজনেস অল্প পুজিতেই শুরু করা যায়। লাখ খানেক টাকা হলেই আপনি মোটামুটি একটা পাট পণ্যের বিজনেস শুরু করতে পারবেন। তবে এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার পাট পণ্য নিয়ে একটা স্বচ্ছ ধারনা থাকতে হবে। ই কমার্স এসোসিয়েশনের রুরাল স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান জনাব ইব্রাহিম বাংলাদেশে পাট পণ্যের বিকাশের একজন অগ্রদূত । দেশের পাশাপাশি বিদেশেও তিনি তার পাট পণ্য রপ্তানি করে বহু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছেন। আপনারা চাইলে তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন পাট সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম CraftVision.

ডেলিভারি সার্ভিস

দেশে ই কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে তৈরি হয়েছে পণ্য ডেলিভারি করার প্রয়োজনীয়তা। এই ডেলিভারে সেক্টরটি আমাদের দেশের তরুনদের জন্যে আশীর্বাদসরূপ। এখানে যেমনি অনেকে পার্ট টাইম বা ফুল টাইম কাজ করে টাকা আয় করার সুযোগ পাচ্ছে তেমনি অনেক স্বপ্নবাজ তরুন ডেলিভারি সার্ভিসের ব্যবসা করে সফল হয়েছে। আপনার একটি ডেলিভারি কোম্পানি থাকলে আর যদি সার্ভিসটি সন্তোষজনক দিতে পারেন তাহলে আপনি এত এত কাজ পাবেন যা আপনি হয়ত এক সময় নতুন কাজ নিতে অপারগ হবেন। আমরা ভার্সিটিতে পড়ার সময় একটা ছোট ডেলিভারি কোম্পানি চালু করি। অল্প সময়ে সফলতা পাই তাতে। তবে এটা আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে যে বার বার আপনার বাজে সার্ভিসে মার্চেন্ট অসন্তোষ হলে আপনার কোম্পানী হুমকির মুখে পড়বে।

অনলাইনে খাবারের ব্যবসা

আপনি যদি ভালো রান্না করতে পারেন তাহলে আপনি রান্না করা খাবার অনলাইনে বিক্রি করে ভালো আয় করতে পারবেন। তবে এই কাজটি শুধু শহরে করার উপযোগী কারন রান্না করা এসব খাবার দ্রুত পচনশীল তাই এগুলো দূরে পাঠানোর উপযোগী নয়। নারীদের জন্যে এই কাজটি করা খুব সহজ । ঢাকায় এমন অনেক নারী আছে যারা শুধু হোমমেইড খাবার অনলাইনে বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছে।

বিউটি পণ্যের ব্যবসা

মানুষ সৌন্দর্য প্রিয় এই কথা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তাই শুধু নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্যে মানুষ হাজার হাজার টাকা খরচ করে। আর এর প্রায় সবটাই খরচ হয় কোনো না কোনো কসমেটিকস বা বিউটি পণ্যের পেছনে। মৌলিক চাহিদার বাইরে সম্ভবত মানুষ ব্যক্তি জীবনে এই খাতেই সবচেয়ে বেশি টাকা ব্যয় করে। বিউটি পণ্যগুলো কম দামে কিনে অধিক দামে বিক্রি করা হয় এজন্যে এ খাত অনেক লাভজনক। কোনো আউটলেট ছাড়াই অনলাইনে বিক্রি করে প্রচুর টাকা আয় করা যায়। নির্দিষ্ট একটা সেভিংস হলে তখন আউটলেট দেয়া যায়। 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

পত্রিকার পাতা উলটিয়ে উলটিয়ে পড়ার দিন প্রায় শেষ বলা চলে। কারন বয়স্করা ছাড়া তরুনদের মধ্যে পত্রিকা পড়ার চেয়ে অনলাইনে পড়ার প্রবনতা বেশি লক্ষ্য করা যায়।  কারন এখন চাইলে হুট করেই ইন্টারনেটে ডুকে আপডেট সব নিউজ পাওয়া যায়। নিউজের জন্যে আপনাকে পরের দিনের পত্রিকার অপেক্ষা করতে হয় না। আবার গতানুগতিক প্রিন্ট মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনের চেয়ে এখন অনলাইনে যেকোনো বিজ্ঞাপন বেশি কার্যকরী তাই পত্র পত্রিকার চাহিদা কমেছে কিন্তু এই ক্ষেত্রে পত্রিকা কোম্পানিগুলো তাদের অনলাইন কার্যক্রম চালু করায় আর ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে না। বাংলাদেশে এই সেক্টরটি এখনও প্রচন্ড প্রতিযোগীতাপূর্ণ হয়নি। কারন যেসকল অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় সাংবাদিকতা সম্পর্কে অল্প জ্ঞান বা আনপ্রফেশনাল নিউজ। তাই যথাযথ দক্ষতা নিয়ে এই সেক্টরে ব্যবসা করে ভালো রেভিনিউ পাওয়া সম্ভব।

রাইড শেয়ার

বর্তমান সময়ের খুবই জনপ্রিয় একটি পেশা হলো রাইড শেয়ারিং। অনেকে জব ছেড়ে পর্যন্ত রাইড শেয়ারিং করছেন কারন এই পেশা যেমন অনেকটা মুক্ত পেশার মতো তেমনি ভালো আয় করা যায়। কেউ কেউ অফিস টাইমের বাইরে কিছু বাড়তি আয় করার জন্যে রাইড শেয়ার করে। আমাদের দেশে ubar, pataho, obhai, shohoj ইত্যাদি কোম্পানিগুলো এই রাইড শেয়ারিং এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা আয় করছে। আপনার যদি একটি বাইক কিংবা প্রাইভেট কার থাকে তাহলে আপনিও শুরু করতে পারেন রাইড শেয়ারিং । অথবা তৈরি করতে পারেন একটি রাইড শেয়ারিং কোম্পানি তবে এক্ষেত্রে আপনাকে মোটামুটি ভালো ইনভেস্ট ও পরিশ্রম করতে হবে। একবার আপনার কোম্পানি মার্কেটে চাহিদা পেয়ে গেলে আপনি সফল হয়ে যাবেন। 

অনলাইন কোর্স

আপনার যদি যেকোনো বিষয়ে দক্ষতা থাকে সেটি হউক একাডেমিক কোনো সাব্জেক্ট যেমন ফিজিক্স, ক্যামিস্ট্রি, বায়োলজি, ম্যাথ, ফিন্যান্স, আইসিটি, ইংলিশ অথবা আইটি রিলেটেড গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েবডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং এর মতো স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স গুলোতে আর আপনি যদি খুব ভালো করে বুঝাতে পারেন তাহলে আপনি অনলাইনে কোর্স করিয়ে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন। চাইলে রেকর্ডেড ভিডিওর মাধ্যমে কোর্স মডিউল তৈরি করে পরে সেগুলো নির্দিষ্ট দামে সেল করে দিতে পারেন। করোনায় পড়াশুনা এভাবেই চলছিলো অনলাইনে। অনলাইন কোর্সগুলো অল্প টাকায় হওয়ায় আপনি সহজে গ্রাহক পাবেন আবার যেহেতু এর জন্যে আপনার আলাদা অফিস বা জনবলের প্রয়োজন হয় না তাই আপনিও লাভবান হতে পারেন।

ইউটিউবিং

আপনার কি নিজ স্কিল সবার সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হয়? আপনি কি ভিডিও তৈরি করতে ও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে পছন্দ করেন তাহলে ইউটিউব হতে পারে আপনার স্বাচ্ছন্দ্য আয়ের অন্যতম উৎস। ছাত্রাবস্থায় চাইলে যেকোনো বিষয়ের উপর ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে সেগুলো নিজ ইউটিউব চ্যানেলে আপ্লোড করতে পারেন। ইউটিউব ব্লগার হিসেবে ছাত্ররাই সবচেয়ে বেশি। ইউটিউবের কাজটি একইসাথে আনন্দের ও ভালো ইনকামের উৎস। ইউটিউবে ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারলে আপনি মাসে লাখ টাকার অধিক আয় করতে পারবেন। তবে এ সেক্টরে ভালো করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিডিও আপ্লোড করতে হবে এবং লেগে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলে এক সময় সফলতা আসবে। 

ব্লগিং

ব্লগিং খুবই জনপ্রিয় একটি পেশা। এই কাজটি করার জন্যে না আপনাকে অনেক পুঁজি নিয়ে নামতে হবে না আপনাকে অফিস টাইম মেইন্টেইন করতে হবে । আপনি শুধু আপনার মনের মাধুরি মিশিয়ে যেকোনো বিষয়ে সুন্দর করে নিয়ম অনুযায়ী লিখতে পারলেই হবে। আপনার লেখাগুলো একটি ব্লগ ওয়েবসাইটে পাব্লিশ করে সেখান থেকে একটি মান্থলি এমাউন্ট পেতে পারেন অথবা অন্য কাউকে ব্লগ লিখে দিয়ে আয় করতে পারেন। প্রতিটি বাংলা ব্লগের জন্যে প্রায় ৫০০টাকা আর ইংরেজি ব্লগের জন্যে হাজার টাকা করে পাওয়া যায়। তবে আপনার ব্লগ দ্রুত র‍্যাংক করতে হলে তা এসইও অপ্টিমাইজ হতে হবে। 

অর্গানিক পণ্যের ব্যবসা

বর্তমান ভেজালের বাজারে মানুষ যেকোনো অর্গানিক পণ্য পাওয়ার জন্যে মুখিয়ে থাকে। রাস্তায় তাজা মাছ, শাক পাওয়া গেলে তা কিনতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। শুধু খাবার পণ্য নয় অন্য যেকোনো জিনিসই যদি প্রচলিত ক্যামিকেল মিশ্রিত না করে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করা হয় তাহলে তা অনেক বেশি চাহিদাসম্পন্ন হয়ে থাকে। এটা হতে পারে খাবার, হতে পারে ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধক, কিংবা চুলের প্রসাধনী। বাজারে পাওয়া এসবের সবকিছুতেই ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। আমরা জেনেও তা ব্যবহার করি কারন এর বিকল্প নেই। সেজন্যে যদি কেউ অর্গানিকভাবে কোনো পণ্য তৈরি করে সেগুলো বাজারে খুবই চাহিদাসম্পন্ন হয়। অনলাইনে অর্গানিক পণ্য  মধু, ঘী, বিভিন্ন ক্রিম, ড্রাই ফ্রুটস প্রচুর বিক্রি হয়। অল্প পুজিতে এই ব্যবসা করতে পারেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান 

মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে শিক্ষা অন্যতম । নিয়ম করে সবাইকে মোটামুটি প্রাইমারী লেভেল  শেষ করতে হয়। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক। দেশের মোট শিক্ষার্থীর তুলনায় সরকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অতি নগণ্য। তাই বেশিরভাগ স্টুডেন্টকেই পড়তে হয় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে । কিন্তু বেসরকারী নামকরা কিছু প্রতিষ্ঠান বাদে বাকিগুলোতে শিক্ষার মান ও পরিবেশ খুব একটা সন্তোষজনক নয়। শহরের গলিতে গলিতে স্কুল অথচ বেশিরভাগ স্কুলেই নেই দক্ষ শিক্ষক। তাই আপনি যদি শিক্ষানুরাগী হয়ে থাকেন সাথে ভালো ইনকাম করতে চান তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেন। দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী, সুন্দর পরিবেশ থাকলে আপনার প্রতিষ্ঠান অল্প দিনে বেশ সুনাম অর্জন করবে আর আপনার ইনকামও হবে অনেক বেশী। এছাড়া শুধু কোচিং সেন্টার দিয়েও ভালো টাকা আয় করা যায়। আপনি যদি বলেন যে, বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি? তাহলে সেটা হতে পারে এই শিক্ষা খাত।

ডিজিটাল এজেন্সি

সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়েছে মার্কেটিং স্ট্রাটেজি। মানুষ এখন প্রিন্ট মিডিয়ার পরিবর্তে অনলাইনে অধিক প্রচার প্রচারনায় আগ্রহী। বর্তমানে অনলাইন মার্কেটিং স্ট্রাটেজির উপরে ব্যবসায়িক সফলতা অনেকটাই নির্ভর করে। বাংলাদেশে যেহেতু এখন অসংখ্য ই কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে যার বেশিরভাগেরই ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয়। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এ কাজটির জন্যে আলাদা ইমপ্লোয়ি নিতে গেলে অনেক বেশি খরচ হয় বিধায় ব্যবসায়ীরা এটি থার্ড পার্টি এজেন্সির মাধ্যমে করিয়ে নেয়। এজন্যে দেশে অনেক ডিজিটাল এজেন্সি গড়ে উঠেছে। এটি খুবই লাভজনক একটি সেক্টর। আপনি যদি ইউনিক কিছু আইডিয়া এপ্লাই করে ক্লায়েন্টকে সন্তুষ্ট করতে পারেন তবে অল্প দিনেই আপনার প্রতিষ্ঠান অনেক সুনাম অর্জন করবে আর আপনার রেভিনিউ সমানুপাতিক হারে বাড়তে থাকবে। বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসাগুলোর একটি ডিজিটাল মার্কেটিং।

তো এই ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেল। আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদের ভালো কিছু লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া দিতে । শেষে এ কথাই বলব, আপনি যে ব্যবসা-ই করেন না কেন আপনাকে আগে ভালো করে সেই ব্যবসার অতীত বর্তমান ভবিষ্যতের সাথে আপনার সমীকরন মিলিয়ে স্টার্ট আপে যেতে হবে।

 

  

We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Reset password

Enter your email address and we will send you a link to change your password.

Get started with your account

to save your favourite homes and more

Sign up with email

Get started with your account

to save your favourite homes and more

By clicking the «SIGN UP» button you agree to the Terms of Use and Privacy Policy
Powered by Estatik
Monster Bangla
Logo
Compare items
  • Total (0)
Compare
Shopping cart